The text translates pages from an article in Anushtup, a leftist journal that documents the beginnings of the Calcutta group and their Bombay affiliations via P.C. Joshi et al.
Original Logo of the Calcutta Group
Original Text:
আমি তখন কাশ্মীরের কর্মস্থল প্রত্যাবর্তনের পর বন্ধুবর রথীন মৈত্রের মিত্রতায় আস্তানা গ্ৰহন করেছি থ্রি-এ , এস-আর-দাস রোডে। প্রগতিশীল শিল্পীদের নিয়ে ক্যালকাটা গ্ৰুপের পত্তন হল আমার আর রথীন্দ্রের অগ্ৰহাতিশয্যে। দেশের লোকের সকল উপেক্ষা তুচ্ছ করে এগিয়ে চললাম আমরা। পর পর একক প্রদর্শনী হল গোপাল ঘোষের, নীরোদ মজুমদারের, প্রদোষ দাশগুপ্তের। লোকের চোখে খোঁচা মেরে বলতে বোঝাতে প্রয়াস করলুম যে, শিল্প বিহীন দেশের স্বাধীনতা, নিরাভরণ বিধবার সদৃশ। মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে বিধবাদের আমন্ত্রণের বাধার মত আন্তর্জাতিক সম্মেলন- আসরে কলা- কৃষ্টি বিহীন দেশের প্রবেশ অমনিতরই অনাদৃত হবার সম্ভাবনা।
Translation:
After returning from the workplace of Kashmir, I took shelter under the friendship of my friend Rathindra Maitra at 3-A, S.R.Das road. Rathindra and my excessive enthusiasm resulted in the foundation of the Calcutta Group with the progressive artists. By ignoring all the criticism of my countrymen , we moved forward. One after another solo exhibitions were held on the works of Gopal Ghosh, Nirode Mazumdar and Prodosh Das Gupta. I tried to convey and convince the people by poking in their eyes that independence in a country devoid of art is akin to a widow, void of any ornaments. Just like a widow has no permission to enter in an auspicious ceremony, a country void of art and culture is equally unappreciated in an international symposium.
Original text:
এই সময়, সমাজ চেতনায় সচেতন, সাম্যবাদের সপক্ষীয় বাংলার শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম একমাত্র বিষ্ণু দের সহানুভূতি এবং এই উপেক্ষণীয় প্রগতিশীল শিল্পীদের উদ্দেশ্যে অসীম দরদ ও অকাতর সাহায্য আমার কাছে চিরস্মরণীয়, আজও অম্লান হয়ে আছে। তাঁরই মারফত আমার প্রথম পরিচয় ঘটে সাম্যবাদ- বিশ্বাসী প্রগতিশীল সাহিত্য ও শিল্পানুরাগীদের সঙ্গে। এই সময় সাহিত্যিক বিনয় ঘোষ, প্রাণতোষ ঘটক, কবি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ গুণগ্ৰাহীরা আমাদের মত শিল্পীদের যথেষ্ট সহযোগিতা ও সাহায্য করেছেন প্রচার প্রসারতা এবং প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে।
Translation :
At the contemporary time, amidst heightened social awareness, one of Bengal’s greatest poets who believed in the socialist ideals, Bishnu De’s empathy and his boundless assistance towards this neglected group of progressive artists, is something which is memorable to me forever, something which remains unforgettable to me. Through him, for the first time, I was introduced to the progressive literature and art enthusiasts who believed in socialism. At this juncture, artists like us , got enough assistance and cooperation from the literary creators like Binoy Ghosh, Prantosh Ghatak and the poet Chanchal Chattopadhyay, in terms of promotion in a wide manner and establishment.
Original text:
এরপর সাম্যবাদী দলের উদ্যোগে আয়োজন হলো ‘ফ্যাসী – বিরোধী শিল্প সাহিত্য সঙ্ঘের’ উদ্বোধন, যা পরে ‘প্রগতি – শিল্প- সাহিত্য সঙ্ঘে’ রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম এই সাম্যবাদী দলই যথার্থ দাম দেওয়ার প্রচেষ্টা করে শিল্প- সাহিত্যিকদের, শুধু তাই নয়, সমাজ ব্যবস্থায় তাদের দানও স্বীকৃত করতে এগিয়ে এলেন। তাঁদের ব্যবস্থাপনায় মুহুর্মুহু চিত্র প্রদর্শনী ও গণনাট্যের বারংবার প্রযোজনায় দেশের শিল্পীদের, সাহিত্যিকদের মানুষের মহান আদর্শের পথে সাহায্যকারী হিসেবে, কমরেড বলে, সঙ্গী বলে, করমর্দনে মর্যাদা দান করলেন। তারপর অনান্য অনেক রাজনৈতিক দল এদের দেখাদেখি শুরু করলেন নানা সভা-সমিতি- সঙ্ঘ, নানা নাট্য- গীতিকার মহড়া কিন্তু প্রগতিবাদী শিল্প ও শিল্পীদের প্রতি প্রচ্ছন্ন পিঠ চাপড়ানি মনোবৃত্তি তাদের রয়ে গেল সেই পূর্বেকার মতই তাচ্ছিল্যের তলদেশে।
Translation :
After that, the inauguration of the ‘Anti- Fascist Art and Literary Association’ was organised by the Communist Party, which later transformed into the ‘Progressive Art and Literary Association.’ This socialist party was the first in our country to make a genuine effort to give proper value to those artists and writers, not only that, they even came forward to help them in acknowledging their contribution to the society. Under their management frequent art exhibitions and dramas were held, through which the artists and the literary creators of our country were honoured as the comrades, partners of the common man and accorded dignity and recognition. Afterwards, other political parties also followed their path and arranged various assemblies- committees and associations, various rehearsals on drama and songs, but a prevailing negative attitude towards the progressive artists remained as conservative as it was beforehand.
Original text :
এমনি একসময় একদিন খবর এল ভারতের রাজনীতি ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী সর্বাপেক্ষা সঙ্ঘবদ্ধ সাম্যবাদী দলের তখনকার সর্বাধিনায়ক পি,সি,যোশী পরিচিত হতে চান আধুনিক প্রগতি শিল্পীদের এই নতুন ভাবধারার সঙ্গে। ভারতবর্ষের মতো বিশাল ভূখণ্ডের দ্বিতীয় স্থান অধিকারী রাজনৈতিক দলের দলপতি, সেই হিসেবে নানা ব্যস্ততায়, নানা জরুরি কার্যে স্বভাবতই সাঙ্ঘাতিক ব্যস্ত। আকন্ঠ নিমজ্জিত নানা রূপ কার্যকারণের কর্ম- সূচিকায় শুচিবিদ্ধ তাঁর সময়। তা সত্বেও দেশের কলা- কৃষ্টির প্রতি তার এই দরদ রাজনৈতিক চুনোপুঁটি থেকে সুবৃহৎ কোন দলের দলপতি দের মধ্যেও কদাচ দর্শন ঘটেনি।
Translation :
Suddenly, one day, a news arrived that the then leader of India’s second- most prominent and organised political party – the communist party, P.C.Joshi wanted to get acquainted with the new perception of the modern progressive artists. It is quite natural for the leader of such a great country’s second-most prominent political party, to remain extremely busy with various issues. He is pinned down neck-deep with a variety of work schedules. Nevertheless, his immense love for the country’s art and culture is something which was very atypical for any politician, whether it is minor or the leader of major parties.
Original text:
শিল্পের ব্যপারে, অনিচ্ছায়, বলতে গেলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে, যদিও কোন অপরাপর দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বিশেষের সাক্ষাৎ লাভের আশায় গিয়েছি এসেছি, কিন্তু সে দাবি নিয়ে নয়- গিয়েছি সহানুভূতি লাভের ভিক্ষা পাত্র হাতে – হয়তো তাদের কাছে প্রাপ্তিও ঘটেছে কিন্তু সে- দান অনুকম্পার মত শিল্পীর আত্মাকে পীড়িত করেছে মাত্র। তাদের কাছ হতে সে সময় বারংবার শুনেছি, দেশের কাজে তাঁরা কত ব্যাস্ত। সময় তাদের নামমাত্র নেই। আর্ট কিংবা শিল্প তো শৌখিনতা, এর জন্য তাদের অতি মূল্যবান সময় ব্যয়ে অতিশয় কৃপণ তাঁরা।
Translation :
For the sake of art, reluctantly and almost out of compulsion, although I have gone to the other parties with the hope of meeting the leading individuals, it was not with any claim – I went there with a begging bowl in my hand to gain sympathy. Perhaps I have also received something from them, but that charity, like pity, only tormented the artist’s soul. I have repeatedly heard from them about how busy they are with the country’s work. They have no time at all. Art and craft is a matter of pastime and they are excessively stingy to spend their precious time on such things.
Original text :
সার্দান অ্যাভুন্যুর পাশেই এল. আর. দাস রোডে আমার স্টুডিও থেকে তখন সামনেই দেখা যাচ্ছিল, দিনান্তের আলো তার শেষ উদ্দীপনায় আলোড়িত আকাশে। হাজির হলেন পি. সি. যোশী আমার স্টুডিওতে - ক্যালকাটা গ্ৰুপের কর্মকেন্দ্রে - সঙ্গে প্রফেসর হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, কবি বিষ্ণু দে এবং স্নেহাংশু আচার্য। মাঝারি গোছের ছোটখাটো মানুষটি, মুখের উপর ‘এ যুগের চাঁদ হোলো কাস্তে’র মতো বাঁকা চন্দ্রের একটি ফালি- যেন চুলের সেই বেঁকিয়ে পড়া গুচ্ছ - এত বড় রাজনৈতিক দলের দলপতি হয়েও এতো সরল, এতো সহজ, এত সাধারণ, যে ভাবাই যায় না - মনে হয় নি যেন আমাদেরই দুঃখে- সুখে জড়িত - আমাদেরই একজন। শিল্পীদের প্রতি সম্মানিত সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সবাই যেন উদগ্রীব। একবারের জন্যও আদৌ বুঝতে পারলুম না যে তিনি রাজনৈতিক নেতা। নেই সে রাজসিকতা, নেই সে রাশভারি ভঙ্গিমা কোথাও তাঁর। মনে হল আর্টিস্টদের উন্নতির জন্যেই যেন জীবন কাটিয়েছেন। এই সময় নানা কথায় নানা আলোচনার মধ্যে দিয়ে আর্টিস্টদের প্রতি সমাজের নেতৃস্থানীয়দের নৃশংসনীয় ঔদাসিন্যের কথা উল্লেখে তিনি উতলা হয়ে উঠলেন বেদনায় - স্নেহাংশু, হীরেন্দ্রনাথ, বিষ্ণুর প্রতি ফিরে বললেন , আমি ত কলকাতায় অতি অল্প সময়ের জন্যই আছি, এঁদের - আর্টিস্টদের জন্যে কি করা যেতে পারে ভাবা উচিত অবিলম্বে। বম্বেতে নিয়ে আসতে বলছি এদের সৃষ্টি। তারপর দেখা যাবে ওখানে কতদূর কি করা যেতে পারে।
Translation :
From my studio on L.R.Das road, beside Southern Avenue, it was visible right in front, the gloaming light was stirring the sky in its final brilliance. P.C .Joshi arrived at my studio - the work centre of the Calcutta Group - accompanied with professor Hirendranath Mukhopadhyay, poet Bishnu De and Snehansu Acharya. He is a person of short height and mediocre look - the curvy tuft of hair falling over his face looks like a crescent moon, as if ‘the moon of this epoch turns like a sickle’. Despite being the president of such a large political party, he is so humble, so straightforward and so simple that it's hard to believe - it seems like he is connected with our happiness and sorrow - he is one of us. All of them were eager to help the artists respectfully. It was hard to believe at once that he is a politician. He neither had that political attitude nor any vigorous gesture. It seemed like he had spent his entire life for the betterment of artists. At this time, through various discussions when he came to know about the ruthless indifference that had been shown towards the artists by the political leaders of our society, he became restless with pain. Snehangshu told Hirendranath and Bishnu De that I'm here at Kolkata for a very short period of time, so we should think immediately what we can do for these artists. I will ask them to come to Bombay with their creations, after that we'll see what can be done there.
Original text :
সাধারণ সামান্য চা - চক্রের পরিবেশে তার সঙ্গে আমার এই দেখা…কিছুদিন হতেই ধারণা হয়েছিল শিল্পীদের সাম্যবাদের আদর্শ গ্ৰহন ছাড়া আর গত্যন্তর নেই। এবার এই সাম্যবাদী দলের দলপতির দর্শন ঘটার পর দৃঢ়তর হল যে, ভারতবর্ষের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে শিল্পীর সত্যিকারের দরদী বন্ধু এই পি.সি.যোশীই।
তখন স্নেহাংশু আচার্যের গাড়ি অতিথিবৃন্দদের নিয়ে অন্তর্হিত হয়েছে।
I met him in an ordinary tea- gathering moment…from some time I was thinking that there is no other option for the artists but to embrace the ideals of socialism. Now, after meeting the leader of this socialist party, it has become more certain that among all the political leaders, P.C.Joshi is someone who can be called as the true friend of artists.
Then, Snehansu Acharya’s car disappeared with the guests...
Reference
Anushtup, 1985, Vol 1, page 18,19,20