Shanu Lahiri was Nirode Majumdar's sister and reminisces here about the formation of the Calcutta group in her book ' Smritir Collage' . The quotes and translations are from the same.
Prodosh Dasgupta, Gopal Ghose, Rathin Maitra
Original text:
সেই সময়ে নিরুদার বন্ধু রথীনবাবু ও সুভো ঠাকুর খুব আসতেন। রথীনবাবুকে মা বাবারা অনেক দিন ধরেই চিনতেন। রথীনবাবু আর বটুকদা সদানন্দ রোডের পাড়ায় ভূগলাদের বাড়িতে খুব আসতেন। এবং তখন থেকেই দাদাদের সঙ্গেও খুব ভাব ছিল। ভূগলাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বন্ধুতা ছিলো ছোটবেলা থেকে। তখন কে জানতো আমরা পরস্পরের নির্বন্ধ।
Translation:
At that time, Niru da’s friends Rathinbabu (Maitra) and Subho Tagore used to visit frequently. Rathinbabu had been known to my parents for a long time. Rathinbabu and Batuk da used to come frequently to Bhugala's house, which was situated on Sadananda Road. Since then, he has had a good relationship with my elder brothers. We had a family friendship with Bhugala (Lahiri) since childhood. Who knew then that we would be united together.
Original text:
রথীনবাবু অল্পবয়সে জলতরঙ্গ বাজাতেন। দিদির নাচের সঙ্গেও বাজিয়েছেন কয়েকবার। আর বটুকদা একবার তিন চারটে ছাতা খুলে —‘প্যারাসুটে করে নামছি’ — বলে তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। ছোটবেলায় ওঁদের যা দেখেছি বললাম। বড় হয়েও নানা পরিস্থিতিতে রথীনবাবু আর বটুকদার সঙ্গে কাজ করেছি — সে-ও বলার মতো। পরে আবার কখনো সে কথায় আসবো হয়তো।
Translation:
In youth, Rathinbabu used to play Jal Tarang. He had also played it several times accompanying my elder sister's dance. And once Batuk da (Jyotirindra Moitra) opened three to four umbrellas and jumped from third storey after saying - “I'm coming down using parachute.” I have said whatever I had seen of them in my childhood. Even after growing up, I have worked with Rathinbabu and Batuk da in various circumstances - even that can be a topic for discussion. Maybe I'll come back to that topic some other time.
Original text:
সুভো ঠাকুর আসতেন হলদে বা গেরুয়া লম্বা পাঞ্জাবী পরে। ঠাকুরবাড়ির হাবভাব ছিল খুবই। তখন থেকেই ওঁরা একটা গ্ৰুপ করবেন সেই পরিকল্পনা চলতো। নিরুদা, রথীনবাবু ও সুভো ঠাকুর খুব আড্ডা দিতেন ‘সিডলী হাউসে’র বাড়িতে।
মাঝে মাঝে হয়তো দাদাও যোগ দিতো। পরে ১৯৮২ তে সুভো ঠাকুর এই প্রসঙ্গে খুব সুন্দর করে লিখেছিলেন ‘সত্যযুগ’ পত্রিকায়। তারপরে তৈরি হলো ‘ক্যালকাটা গ্ৰুপ’ — সে কথায় পরে আসছি…
Translation:
Subho Tagore used to come wearing yellow or saffron coloured knee-length punjabi. He had a very strong demeanour of the Tagore family. From that point of time, they were planning to form a group. Niru da, Rathinbabu and Subho Tagore used to give adda frequently at ‘Sidhli House’. Perhaps, sometimes my elder brother used to join them. Later, Subho Tagore wrote about this matter clearly in the magazine ‘Satyajug’, in the year 1982. After that the Calcutta Group was formed - I'll come to that point later…
Original text:
‘ক্যালকাটা গ্ৰুপে’র সূচনা খুব অদ্ভুত। কি ভাবে কেমন করে যে গড়ে উঠলো বোঝা দুরূহ। রথীনবাবু সুভো ঠাকুরের সঙ্গে পড়তেন গভর্মেন্ট আর্ট কলেজে। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তাঁর প্রায়ই আসাযাওয়া ছিলো। সেইসময়, ১৯৩৮-এ, গোপাল ঘোষ কর্ণওয়ালিশ স্ট্রীটে কানোয়ার কৃষ্ণর সঙ্গে কাজ করতেন। রথীন বাবু ওখানে আসাযাওয়া করতেন বলে তাঁর সঙ্গেও চেনা ছিলো। সুভো ঠাকুরের নতুন বই ‘নীলরক্ত লাল হয়ে গেছে’ তখন প্রকাশিত হয়েছে। সময়টা মোটামুটি ৪২-৪৩ হবে। বাবা বইটা পড়েছেন। সকলেই খুব প্রশংসা করলো। মা বইটা আবার নিজে পড়ে শোনালেন বাড়ির সকলকে। রথীনবাবুর মা-ও ওই বই পড়ে খুব অবাক আর খুশি। ছেলেকে বললেন, ‘হ্যাঁরে, সুভোকে একবার আনতে পারিস?’ রথীনবাবু সুভো ঠাকুরকে নিয়ে গেলেন ওঁর বাবা মায়ের সঙ্গে আলাপ করাতে। গল্প করতে করতে সুভো ঠাকুর সেখানে একটা পত্রিকা প্রকাশের ইচ্ছার কথা জানালেন। টাকা পয়সার প্রয়োজনের কথাও বলেন। মনে হয় রথীনবাবুর মা বাবা ওঁকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন…
Translation:
The beginning of the Calcutta Group is exceptionally bizarre. It is even difficult to make out how and in which ways it came into existence. Rathinbabu studied at the Government Art College with Subho Tagore. He used to visit Jorasanko Thakur Bari quite often. At that point of time, Gopal Ghosh was working with Kanwal Krishna at Cornwallis Street. As Rathinbabu used to visit that place, he was also familiar with him. ‘Neel Rokto Laal Hoye Geche’ (Blue Blood Has Turned Red), the new book written by Subho Tagore, had just been brought out then. The time frame was approximately 42-43 (1942-1943). My father read the book. Everyone highly praised it. My mother read the book aloud to everyone at home once again. Rathinbabu’s mother also became astounded and happy after reading the book. She asked her son, “Can you bring Subho here once?” Rathinbabu brought Subho Tagore to his parents to introduce him. While discussing various things, Subho Tagore expressed his desire to publish a magazine. He also mentioned the need for money to serve this purpose. Maybe Rathinbabu's parents had given him some financial aid…
Original text:
১৯৪৩-এ দুর্ভিক্ষের সময় রথীনবাবু ও সুভো ঠাকুরের সম্পাদনায় প্রথম পত্রিকা বের হলো, নাম ‘অতিক্রমা’। তাতে নিরুদার সব লাইন ড্রইং ছাপা হলো। হয়তো অনেকেই একথা জানেন না- এই পত্রিকার কথা। এই পত্রিকা বের করে ওরা তিনজন মিলে। এর সঙ্গে সঙ্গেই চলতে লাগলো গ্রুপ তৈরির তোড়জোড়।
Translation:
During the famine of 1943, the first magazine under the editorship of Rathinbabu and Subho Tagore was launched, named ‘Atikrama’. It featured the printing of Niru da’s line drawings. Perhaps many people are unaware about it - about this magazine. This magazine was published through the efforts of the three of them. In the meantime they were working equally to form the group.
Original text:
‘অতিক্রমা’-র মলাটে যামিনী রায়ের ছবি ছাপা হলো। লিখেছিলেন করালীকান্ত বিশ্বাস, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, সময় সেন, দিলীপকুমার স্যানাল, অমূল্য চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রকুমার স্যানাল, সুভো ঠাকুর, নীরদ মজুমদার ও আরও কয়েকজন। ছবি ছিলো রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, রথীন মৈত্র, খগেন রায়, আদিনাথ মুখোপাধ্যায় ও নীরদ মজুমদারের। সারা পত্রিকা জুড়ে বহু লাইন ড্রইং ও ছবি।
Translation:
Jamini Roy's painting was printed on the cover page of ‘Atikrama’. The writings were of Karalikanta Biswas, Jyotirindra Moitra, Samar Sen, Dilipkumar Sanyal, Amulya Chattopadhyay, Dipendra Kumar Sanyal, Subho Tagore, Nirode Mazumdar and of few others. This magazine featured the paintings of Ramendranath Chakravorty, Rathin Maitra, Khagen Roy, Adinath Mukhopadhyay and Nirode Mazumdar. Throughout the magazine there were various paintings and line drawings.
Original text:
বংশীচন্দ্র গুপ্ত তখন থাকতেন রথীনবাবুর বাড়ির পাশে। তাঁকেও গ্ৰুপে নেওয়ার কথা হয়েছিলো। কিন্তু কোনো কারণে হয়তো তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বংশীবাবু তখন স্টেজে আর ফিল্মে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের বাড়িতে রথীনবাবু আর সুভো ঠাকুরের আসাযাওয়া আরও বেড়ে গেলো। হয়তো আজকের পরিবেশে গ্ৰুপের আর কোনো মূল্য নেই। কিন্তু একসময় এই গ্রুপ ছিলো পথপ্রদর্শক। গ্রুপের একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন।
Translation:
In those days Bansi Chandragupta used to live next to Rathinbabu’s house. There was a discussion of including him in the group. But for some reason it wasn't possible. Besides that, Bansibabu had already started working on the stage and in films at that time. The frequency of Rathinbabu and Subho Tagore visiting our house increased more. Perhaps, in today's circumstances, the group has no value at all. But once, this group was the pioneer. It is always necessary for a group to have their unique perspective.
Original text:
গোপাল ঘোষ থাকতেন ওয়েলিংটনে। সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্টে। সুভো ঠাকুর বংশীচন্দ্র গুপ্তকে ওখানে রেখেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই ওঁর খুব শরীর খারাপ হয়ে যায়। সুভো ঠাকুর ও রথীনবাবু তাঁকে নিয়ে এলেন ৫ নম্বর এস আর দাস রোডের বাড়িতে। ওখানে সুভো ঠাকুর থাকতেন…
Translation:
Gopal Ghosh lived in Wellington. At the Society Of Oriental Art. Subho Tagore kept Bansi Chandragupta there. But after some days he became seriously ill. Subho Tagore and Rathinbabu brought him to the house of 5, S.R.Das Road. Subho Tagore lived there…
Original text:
সুভো ঠাকুরের এস আর দাস রোডের বাড়িতে তখন ওঁদের সকলেরই একটা করে ছবি টাঙানো থাকতো। ওই বাড়িতেই প্রথম প্রদর্শনী হয়। উদ্বোধন করতে এসেছিলেন গভর্নর পত্নী মিসেস কেজি। পুলিশ, মোটরবাইক — সে এক দারুণ হইচই গন্ডোগোল ব্যাপার।
Translation:
Everyone's painting was hung up at Subho Tagore's house on S.R. Das Road, one for each person. The first exhibition was held at that house. Mrs. Casey (Maie Casey), the wife of the Governor (R.G.Casey), came to inaugurate the exhibition. Police, motorcade — that was a terribly chaotic situation.
Original text:
তখন রোজই প্রায় আমাদের বাড়িতে ‘ক্যালকাটা গ্রুপে’র আলোচনা বসতো। প্রথম দিকে তো শুধু ছিলেন রথীন মৈত্র আর সুভো ঠাকুর। বোধহয় বলেছি আগে কোথাও নিরুদার ছবি দেখাবার জন্য রথীনবাবুই নিয়ে এসেছিলেন সুভো ঠাকুরকে। উনিই পরে নিয়ে এলেন গোপাল ঘোষ, ভাস্কর প্রদোষ দাশগুপ্ত আর পরিতোষ সেনকে। নিরুদা আনলো প্রাণকৃষ্ণ পালকে, সবাই জড়ো হলেন। সত্যজিৎ রায় থাকতেন আমাদের বাড়ির উল্টোদিকে ট্র্যাঙ্গুলার পার্কের পাশে। তিনিও প্রায়ই আসতেন আলোচনায় যোগ দিতে। সেই আড্ডার রেশ চলতো সকলে হাঁটতে হাঁটতে প্রায় উল্টোদিকে প্রদোষ দাশগুপ্তের স্টুডিও পর্যন্ত গিয়ে…
Translation:
In those days, the discussion of the Calcutta Group would usually take place at our house almost everyday. Initially, Rathin Maitra and Subho Tagore were there in that group discussion. Perhaps I have already mentioned somewhere that it was Rathinbabu who brought Subho Tagore to show him the paintings of Niru da. Later he brought Gopal Ghosh, sculptor Prodosh Das Gupta and Paritosh Sen. Niru da brought Pran Krishna Pal, all of them gathered. Satyajit Ray used to live at the opposite side of our house, beside the Triangular Park. He also came often to participate in the discussion. That adda would continue by walking until they reached Prodosh Das Gupta’s studio which was situated on the opposite side…
Original text :
‘ক্যালকাটা গ্ৰুপ’ থেকে প্রথম একক প্রদর্শনী করেন গোপাল ঘোষ এস আর দাস রোডের বাড়িতে। তারপর ওঁদের বড়ো প্রদর্শনী হলো যতীন মজুমদার মহাশয়ের বাড়িতে। তিনি খুব উদ্যোগী মানুষ ছিলেন। তাঁর স্ত্রী-ও যথেষ্ট সাহায্য করতেন। ১ নম্বর চৌরঙ্গী টেরেসা তখন বিখ্যাত চিত্রপ্রদর্শনীর স্থান হয়ে উঠেছিল…
Translation:
From Calcutta Group, Gopal Ghosh was the person to organise the first solo exhibition at the house on S.R.Das Road. After that, they arranged a grand exhibition at the house of Jatin Mazumdar. He was a very enthusiastic person. Even his wife also provided ample help. By then, 1 Chowringhee Terrace had become a renowned place for painting exhibitions…
Original text:
১৯৪৭-এ ফ্রেঞ্চ স্কলারশিপ নিয়ে নিরুদা প্যারিস চলে যাওয়ার বেশ কয়েক বছর বাদেই কিন্তু রথীনবাবু ও গোপাল ঘোষ গ্ৰুপ ছেড়ে দিয়েছিলেন…
Translation:
In 1947, shortly after Niru da moved to Paris with a French scholarship, both Rathinbabu and Gopal Ghosh left the group…
Reference
Smritir Collage ( A collage of Memories) , Shanu Lahiri (2001), Vikalp Prakashani - Kolkata